নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরের হাটখোলা কসাই খানা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে যুবকের চোখ উৎপাটনের ঘটনার পরও সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২১) ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় নগরের আগরপুর রোডস্থ বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী’র ছোট বোন মুক্তা আক্তার। চলতি মাসের ৪ ডিসেম্বর নগরের খাটখোলা কসাই খানা এলাকার বিশ্বাসের হোটেলের সামনে বসে জমি জমা বিরোধের জের ধরে হামলার শিকার হন মোঃ সোহাগ খান। তিনি নগরের মোহাম্মদ পুর ৫নং ওয়ার্ডের মৃত: সেকান্দার আলী খানের ছেলে। ঘটনার সময় পতিপক্ষরা চাবি দিয়ে আঘাত করে সোহাগ খান এর চোখ নষ্ট করে দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল করেঝ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক তাকে ঢাকা প্রেরন করে। ঢাকায় চিকিৎসার পর চিকিৎসক জানিয়েছে তিনি আর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেনা। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ওই যুবকের বোন মুক্তার আক্তার বলেণ, নগরের হাটখোলা হকার্স মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি মোবারক সিকদার ও তার চার ছেলের সাথে আমাদের জমি জমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিলো। হাটখোলা হকার্স মার্কেটের পাশে চর বদনা মৌজায় ভূমিহীন হিসেবে সরকারি ভাবে আমরা তিন শতাংশ জমি বিগম ৩০ বছর ধরেভোগ দখল করে আসছি। বিগত ৭ বছর পূর্বে ওই জমি জাল দলিলের মাধ্যমে নিজেদের দাবি করে পতিপক্ষরা। এমনকি ওই জমি থেকে আমাদের উচ্ছেদের পায়তারা করে মোকারক সিকদার ও তার ছেলেরা। ঘটনার দিন সোহাগ খান নাস্তার করার জন্য কসাই খানা বিশ্বাসের হোটেলে যায়। সেখানে মোবারক সিকদারের ছেলে নাজমুলের নির্দেশে অপর তিন ভাই আল আমিন , সাইফুল ও রাব্বি হামলা চালায়। এসময় আল আমিনের সাথে থাকা মটরসাইকেলের চাবি দয়ে চোখে আঘাত করে চোখ উৎপাটনের চেষ্টা করে। পরে আবার থানা পুলিশে খবর দিয়ে সোহাগকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি আরো বলেন , চোখ উৎপাটন ও হামলার ঘটনায় ৫ ডিসেম্বর বড়ভাই মাসুম খান বাদী হয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ৪ জনকে আসামী করে এই মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন, মোঃ আল আমিন, মোঃ সাইফুল, মোঃ নাজমুল, মোঃ রাব্বি। এদের মধ্যে পুলিশ নাজমুল ও রাব্বিকে আটক করলেও তারা আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে পুনরায় হুমকী ধামকী প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এছাড়াও মামলার অপর দুই আসামী মোঃ আল আমিন, মোঃ সাইফুলকে আটক করতে পারেনি পুালিশ।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হামলার শিকার যুবক সোহাগ খান বলেন, আমার স্ত্রী অন্তসত্ত্বা। আর কয়েকদিন পর আমি প্রথম সন্তানের বাবা হতে যাচ্ছি। কিন্তু সন্তানের মুখ দেখার সু-ভাগ্যের আগেই সন্ত্রাসীরা আমার চোখের আলো কেড়ে নিয়েছে। যারা আমার দৃষ্টি শক্তিকেড়ে নিয়েছে আমি তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাই। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সোহাগ খান এর মা মাসুদা বেগম, অন্তসত্ত্বা স্ত্রী ইয়াসমীন, শ্বশুর বাবুল খান, বড় ভাই ও মামলার বাদী মোঃ মাসুম খান।
Leave a Reply